Header Ads

Header ADS

স্থুলতা কমাবে যবের ছাতু

স্থুলতা কমাবে যবের ছাতু

স্থুলতা:
বিশ্বজুড়েই ধীরে ধীরে স্থুলতা মারাত্মক সমস্যায় রূপ নিচ্ছে। উচ্চতা অনুসারে সবারই একটা নির্দিষ্ট ওজন থাকতে হয়। সাধারণভাবে স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে ১০ ভাগ ওজন বেশি হলে তাকে স্থুলতা বা ওবেসিটি বলা যায়। স্থুলতার সঙ্গে বিভিন্ন রোগের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। যেমন: হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, পলিসিস্টিক ওভারি, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভকালীন জটিলতা, ভ্রূণের মৃত্যু, স্ট্রোক, মাইগ্রেইন, কোমর, হাঁটু ও পায়ে ব্যথা, এসিডিটির সমস্যা, ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও নাক ডাকা, এজমাসহ আরও অনেক রোগ ও জটিলতা স্থুলতার কারণে দেখা দিতে পারে।
স্থুলতা কমাতে বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটা বা দৌড়ানোর অভ্যাস করা যেতে পারে। কিন্তু সবচাইতে উপকারী হচ্ছে একটি স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট চার্ট অনুসরণ করা। যেখানে খাদ্যের সব পুষ্ঠিগুণ সুষমভাবে থাকবে।
আজকে আমরা জানবো স্থুলতা কমানোর এই ডায়েট চার্টে যবের ছাতু কতটা দরকারী।

স্থুলতা কমাতে যবের ছাতুর ভূমিকা:
জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, আঁশযুক্ত খাবার স্থুলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এদিকে যবের ছাতুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার। তাই যবের ছাতু খেলে শরীরের কোষে উপকারী ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এতে শরীরের বিপাক প্রক্রিয়ায় উচ্চ পর্যায়ের প্রোটিন কমে যাবে, যা শরীরে চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। মানুষের স্থুলতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হওয়া উচ্চ পর্যায়ের প্রোটিন। গবেষক ড. আন্দ্রে গিটজ বলেন, আঁশযুক্ত খাবার মানুষের শরীরের বিপাকীয় সমস্যাগুলোকে দূর করে।
এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে ছাতু নিয়মিত পানিতে গুলিয়ে খেলে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যার প্রকোপ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে।
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে ছাতুতে উপস্থিত শর্করা খুব ধীরে ধীরে রক্তে মিশে থাকে। ফলে এই ধরনের খাবার খেলে হঠাৎ করে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকে না।
তাই স্থুলতার ঝুঁকি কমাতে সকালে বা বিকালে নাস্তার সাথে বা দিনের অন্যকোন সময় যবের ছাতু খেতে পারেন। কারণ, এতক্ষণে নিশ্চই অনুধাবন করতে পেরেছেন, স্থুলতা কমাতে প্রতিদিনের ডায়েট চার্টে যবের ছাতু থাকাটা অত্যন্ত দরকারী।


No comments

Theme images by gaffera. Powered by Blogger.