Header Ads

Header ADS

রোজা রাখার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

রোজা রাখার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা


পবিত্র রমজান মাসে মহান আল্লাহতায়ালা সামর্থ্য বান সকল মুসলমানেরউপর রোজা ফরজ করে দিয়েছেন। ইসলামের ৫ টি স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম। অনেকের ধারনা রোজা রাখলে স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দার কল্যানের জন্যই রোজা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন।




ডায়াবেটিস রোগীর জন্য রোজাঃ

সূরা আলবাকরাহ আয়াত১৮৪-১৮৫সুস্পষ্ট নির্দেশিকা প্রদান করে যে, যদি আপনার দীর্ঘস্থায়ী কোন রোগ থাকে এবং তা আপনার জীবনের জন্য ক্ষতিকর হয়,তবে রোযা পালন করা অপরিহার্য নয় (যেমনঃ যদি আপনি নিয়মিত ইনসুলিন নিয়ে থাকেন,কিডনির বা হার্টের কোন সমস্যা থাকে বা আপনি গর্ভবতী হন এবং রোজা রাখলে আপনার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে)


তবে,যে সমস্ত ডায়াবেটিস রোগী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য রোজা রাখা খুবই জরুরী।খেয়াল রাখতে হবে যেন হাইপোগ্লাইসেমিয়ানা হয়ে যায়। যারা ২ বেলার অধিক ইনসুলিন গ্রহন করে থাকেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখলে ভাল হয়।

উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, এবং হাঁপানি রোগীদের জন্য রোজা উপকারীঃ
রোজা রাখার ফলে রক্তে ক্ষতিকর ফ্যাট এর মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের ঝুকি অনেক কমে যায়। রোজা রাখলে স্ট্রেসহরমোন কম নিঃসরণ হয় এর ফলে বিপাকক্রিয়া ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। রোজা রাখার ফলে মনের অশান্তি ও দুশ্চিন্তা কমে যায়, কাজের প্রতি মনোযোগ বেড়ে যায়, এটি উচ্চরক্তচাপ রোগীদের জন্য খুবই ভাল। অধিকাংশ হাঁপানি রোগীর জন্য রোজা বেশ উপকারী।

মোটা ব্যাক্তির জন্য রোজাঃ
অতিরিক্ত খাবার গ্রহনের জন্য অনেকেই অনেক সমস্যায় ভুগতেছেন। তাই ইসলাম অতিরিক্ত আহার গ্রহনের পক্ষে নয়। অতিরিক্ত খাবার গ্রহনের ফলে দেহে প্রচুর চর্বি জমে যায়, ফলে শরীর অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়, যা স্বাভাবিক জীবনযাপনকেব্যাহত করে। এসবচর্বিচামড়ারনিচে, শিরাউপশিরাএমনকিহৃৎপিণ্ডেজমাহতেপারে। এরকারণেশরীরেস্বাভাবিকরক্তচলাচলকরতেপারেনা। কিন্তুরোজারাখলেশরীরেজমেথাকাএসবচর্বিশরীরেরবিপাকক্রিয়ায়ব্যবহৃতহয়ফলেরক্তচলাচলস্বাভাবিকহয়। তবে এ সমস্তরোগীরাঅবশ্যইইফতার ও সেহরিতেহালকাখাবারখাবেন।গ্যাস্ট্রিকআলসার আ আক্রান্ত রোগীদেরজন্যরোজাঃ

অনেকসময়দেখাযায়গ্যাস্ট্রিকআলসারেআক্রান্তরোগীরারোজারাখলেভালথাকেন। কারোকারোসমস্যাহতেপারে। তবেতাদেরজন্যরোজারাখারবিষয়টিঅনুশিলনেরউপরনির্ভরকরে।


রোজাধূমপানকমিয়েদেয়ঃ
আমরাজানিধূমপানস্বাস্থ্যেরজন্যক্ষতিকর। এ কথাবর্তমানযুগেসবাইজানে। বিজ্ঞানেরআবিষ্কারেরঅনেকআগেথেকেইইসলামধূমপাননিষিদ্ধকরেছিল। ধূমপানেরকারণেফুসফুসেক্যান্সারহতেপারে। রোজারাখলেওইসমস্তলোকএটিথেকেবিরতথাকতেপারবেন। বলাযেতেপারেধূমপানবর্জনেরউপযুক্তসময়হচ্ছেরমজানমাস।



কিডনির সমস্যার রোগীদের জন্য রোজাঃ
কিডনির বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকলে ডিহাইড্রেশন ও হাইপো গ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে যা দীর্ঘ মেয়াদী কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই এ ধরনের রোগীদের তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ঝুকি নিরূপণ পূর্বক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

হাইপার ইউরিসেমিয়া বা গাউট রোগীদের জন্য রোজাঃ
রমজানে আপনার খাদ্য তালিকা হতে হবে ব্যালান্সড বা সুষম। পরিমিত পরিমানে শর্করা,আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাবার এতে থাকতে হবে।গাউট রোগীদের উচ্চমাত্রায় পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার সেহেরি ও ইফতারে বর্জন করতে হবে,ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে।

পরিশেষে, বেশি পরিমাণে ভাজা পোড়া, তেল সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন শাকসবজি খেতে হবে তবেই রমজানে আপনি থাকবেন চটপটে,কর্ম চঞ্চল ও প্রাণবন্ত ।

No comments

Theme images by gaffera. Powered by Blogger.